দুই সন্তানের মরদেহ দেখতে দেওয়া হলো না মাকে

দুই সন্তানের মরদেহ দেখতে দেওয়া হলো না মাকে

দুই সন্তানের মরদেহ দেখতে দেওয়া হলো না মাকে
দুই সন্তানের মরদেহ দেখতে দেওয়া হলো না মাকে

অনলাইন ডেস্ক: দিনাজপুরের বিরলে বাবার দেওয়া বিষে নিহত দুই শিশুর মরদেহ মাকে দেখতে দেয়নি এলাকাবাসী। শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে তাদের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী নিহত দুই শিশুর বাবা ও মায়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

এ দিকে গ্রেপ্তার হওয়া বাবা শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে শিশু দুটির মা কুলসুম বানু বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

শনিবার দুপুর ২টায় জানাজা শেষে উপজেলার কেন্দ্রীয় কবরস্থানে শিশু রিমন ও ইমরানের দাফন সম্পন্ন করা হয়।

এর আগে শনিবার সকালে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে দুই শিশুর ময়নাতদন্ত শেষ হয়।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিহত দুই শিশুর মা কুলসুম বানু মরদেহ দেখতে গেলে স্থানীয়রা তাকে তাড়িয়ে দেন। একপর্যায়ে নিরাপত্তার জন্য কুলসুম প্রতিবেশী সাইফুল ইসলামের বাড়িতে আশ্রয় নেন। শেষ পর্যন্ত এলাবাসী তাঁকে সন্তানদের মরদেহ দেখতে না দিয়ে দাফনকাজ সম্পন্ন করেন।

স্থানীয়রা জানান, স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার কারণেই আজ বাচ্চা দুটিকে মেরে ফেলা হলো। দুইটা বাচ্চাকে হত্যার পেছনে স্বামী-স্ত্রী দুজনই জড়িত। তাদের দুজনের বিচার হওয়া উচিত।

তবে এ বিষয়ে কুলসুম বানু কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) শেখ মোহাম্মদ জিন্নাহ আল মামুন বলেন, ‘দুই শিশুকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত একমাত্র আসামি শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে শুক্রবার রাতেই কুলসুম বানু বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ‘

উল্লেখ্য, কিছুদিন ধরে শরিফুল ইসলামের সঙ্গে কুলসুমের দাম্পত্যকলহ চলে আসছিল। তিন মাস আগে স্বামী-সন্তান রেখে তিনি ঢাকায় গার্মেন্টে চাকরি নেন। ১০-১৫ দিন আগে শরিফুল স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার জন্য ঢাকায় গেলে কুলসুম তাকে তালাকনামা ধরিয়ে দেন। গত বৃহস্পতিবার বাড়ি ফিরে শরিফুল রাতের কোনো একসময় সন্তানদের বিষ খাইয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। শুক্রবার সকালে শরিফুল বাড়িতে ফোন দিয়ে সন্তানদের বিষ খাইয়ে হত্যা করেছেন বলে জানান। পরে স্বজনরা ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ঘর থেকে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply